কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র-চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ ঘিরে মার্কিন রণতরি অবস্থান নিয়েছে। চীন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। ফলে এই কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে চীন। কিন্তু প্রতিবেশী জাপান, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এই সাগরের মালিকানার ভাগ চায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, দক্ষিণ চীন সাগর আন্তর্জাতিক জলসীমা। ফলে সেখানে চীনের একক মালিকানা থাকতে পারে না। চীনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে চীনকে সেই কথাই যেন আবারও জানিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বালু ফেলে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা চীনের দ্বীপের কাছে ইউএসএস ল্যাসেন নৌবহরের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী রণতরি পাঠানো হয়েছে। বিরোধপূর্ণ স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে এবং কৃত্রিম দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে এটি। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চীনের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই রণতরি পাঠানো হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল অভিযান।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো ধরনের উসকানির জবাব দেবে চীন। আমরা সাগরগুলো এবং এর আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ নেব আমরা।’
এদিকে মার্কিন রণতরির সঙ্গে টহলে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কয়েকটি যুদ্ধবিমান। রণতরিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছে বিমানগুলো।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে